Yunus Centre Rejoinder on Allegations Regarding Padma Bridge, Tax Evasion and Illegal Money Transfer Abroad
16 February, 2017
In the last several days there have been strong accusations made against Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus by the top lawmakers of the country including the Honorable Prime Minister, her son, ICT Advisor to the PM, as well as a number of Ministers and Members of Parliament through posts on Facebook, on the floor of the Parliament, at press conference as well as in policy meetings, where he has been accused in harshest language and terms of being behind creating false allegations of corruption in the Padma Bridge project and the suspension of funds for Padma Bridge. Professor Yunus has never made any statement private or publicly to anyone about the possibility of corruption in the Padma Bridge project at any time. We condemn the false and baseless accusation against Professor Yunus. On the contrary, Professor Yunus made repeated statements beginning as early as in 2011 that he supports the Padma Bridge project, stating that it is the dream of millions of people of Bangladesh, and would never stand in the way of its realization. He has repeated this on many occasions including as recently as January 28, 2017 when Honorable Prime Minister accused him on the floor of the Parliament. We reiterate this one more time.
In addition to the accusations of Padma Bridge, several papers report quoting unnamed sources that NBR has imposed a fine on Tk 69 lacs on Professor Yunus. This is also an untrue statement. Professor Yunus does not have any outstanding tax claim or fine pending payment. We have repeated on a number of occasions that Professor Yunus pays all of his taxes fully and on due time. All relevant information regarding his earnings and taxes are in the possession of the NBR. He has within his lawful rights contested certain tax claims made recently which he felt were unjustified in a court of law. The matter is still with the court, and he will comply with whatever decision the court takes.
Another accusation has surfaced regarding the transfer of money abroad by Grameen Trust, an organization set up to support replication of microcredit methodology in other countries. The report states that "Grameen Trust has received donor funds from several donors including USAID and Netherlands, USA during 1996-97 to 2015-16 tax year and disbursed funds in 38 countries to support microfinance projects worth Tk 47 crore 35 lacs. The report claims that there is no information of central banks authorisation of the transfer in the income tax file.”
This may give the impression that Grameen Trust shifts donor money given to Bangladesh to other countries. This is not true. Donors provided this money to Grameen Trust for the exclusive purpose of using it in other countries to build micro credit programs in those countries. Every approval and disbursement of money to the projects in other countries has legal approval from the Foreign Currency Division of Bangladesh Bank, as well as all other relevant authorities. All these documents related to these transactions are preserved by Grameen Trust and have been audited on an annual basis by external auditors. All these information are always given in details in the Annual Audit Report of Grameen Trust and submitted to NBR along with Grameen Trust's Tax Return on a regular basis.
End
In Bangla
পদ্মা সেতু, কর ফাঁকি ও বিদেশে বেআইনীভাবে অর্থ প্রেরণ প্রসঙ্গে ইউনূস সেন্টারের প্রতিবাদ।
গত কয়েক দিন ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তাঁর পুত্র প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, কয়েকজন মন্ত্রী ও বেশ কয়েকজন সাংসদ সহ দেশের শীর্ষ আইন প্রণেতারা ফেইসবুকে পোষ্ট দিয়ে, সংসদের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে, সংবাদ সম্মেলন করে এবং বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণী বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দূর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টির নেপথ্যে থাকার জন্য নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে কঠোরভাবে অভিযুক্ত করে কটু ভাষায় বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে আসছেন। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস পদ্মা সেতু প্রকল্পে দূর্নীতির সম্ভাবনা বিষয়ে প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে কখনো কারো কাছে কোন বিবৃতি দেননি। আমরা প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধে এই ভিত্তিহীন অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অপরপক্ষে প্রফেসর ইউনূস ২০১১ সাল থেকে বহুবার এই মর্মে বলে এসেছেন যে, তিনি বরাবরই বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের স্বপ্ন পদ্মা সেতু প্রকল্পের একজন সমর্থক এবং এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে তাঁর বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কোন প্রশ্নই আসেনা। সম্প্রতি জাতীয় সংসদের ফ্লোরে দাঁড়িয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এ বিষয়ে তাঁকে অভিযুক্ত করার পর গত ২৮ জানুয়ারী ২০১৭ তারিখে সহ বহুবার তিনি এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন। আমরা আবারো তার পুনরাবৃত্তি করছি।
পদ্মা সেতু সংক্রান্ত অভিযোগ ছাড়াও কয়েকটি পত্রিকা সুত্র উল্লেখ না করে এই মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রফেসর ইউনূসের উপর ৬৯ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এই তথ্যটিও সত্য নয়। প্রফেসর ইউনূসের কাছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোন অনাদায়ী অর্থের দাবী নেই। আমরা বিভিন্ন সময়ে এ মর্মে জানিয়েছি যে, প্রফেসর ইউনূস তাঁর সকল কর পুরোপুরি ও সময়মতো পরিশোধ করে থাকেন। তাঁর আয় ও কর সংক্রান্ত সকল তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আছে। তিনি তাঁর আইনগত অধিকার বলে সাম্প্রতিক কিছু কর দাবী সম্পর্কে, যা তাঁর নিকট অন্যায্য মনে হয়েছে, আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন এবং এ বিষয়ে আদালতের যে-কোন সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।
আকস্মিকভাবে এবার আরেকটি অভিযোগ তোলা হয়েছে গ্রামীণ ট্রাস্ট কর্তৃক বিদেশে অর্থ প্রেরণ নিয়ে। গ্রামীণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয় অন্যান্য দেশে ক্ষুদ্রঋণ পদ্ধতি রেপ্লিকেশনে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামীণ ট্রাস্ট ১৯৯৬-৯৭ ও ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ইউএসএআইডি ও নেদারল্যান্ডস সহ কয়েকটি সাহায্য সংস্থা থেকে ডোনার ফান্ড বাবদ প্রাপ্ত ৪৭ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা সমপরিমাণ অর্থ ৩৮টি দেশে বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পে সহায়তা বাবদ পাঠিয়েছে। প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে যে, এই স্থানান্তরের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন সংক্রান্ত কোন তথ্য আয়কর ফাইলে নেই।
এতে এই ধারণার সৃষ্টি হতে পারে যে, গ্রামীণ ট্রাস্ট বাংলাদেশকে দেয়া সহায়তার অর্থ বিদেশে স্থানান্তর করছে। বিষয়টি তা নয়। ডোনাররা গ্রামীণ ট্রাস্টকে এই অর্থ শুধুমাত্র ঐ সকল দেশে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সকল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ঐ দেশগুলোর ঐ সকল প্রকল্পে অর্থ প্রেরণের সকল আইনগত অনুমোদন এক্ষেত্রে গ্রহণ করা হয়েছে। এসব লেনদেন সংক্রান্ত সকল দলিল গ্রামীণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত আছে এবং বহিঃনিরীক্ষগণ বাৎসরিক ভিত্তিতে এগুলো নিরীক্ষণও করেছেন। গ্রামীণ ট্রাস্টের বাৎসরিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব তথ্য সব সময় দেয়া হয়েছে এবং এসব প্রতিবেদন গ্রামীণ ট্রাস্টের ট্যাক্স রিটার্নসের সাথে নিয়মিতভাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছে।
----