নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জার্মানীর মর্যাদাপূর্ণ “কার্ল কুবল পুরস্কার” পেলেন
প্রেস রিলিজ
“পরিবর্তনের পথিকৃত ও আশা-স্রষ্টা”
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস জার্মানীর মর্যাদাপূর্ণ “কার্ল কুবল পুরস্কার” পেলেন
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ জার্মানীর “কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন এন্ড ফ্যামিলি”নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে “কার্ল কুবল পুরস্কার”-এ ভূষিত করেছে। এই পুরস্কারের মাধ্যমে ফাউন্ডেশন বিশ্ববাপী পরিবার-এর উন্নয়নে প্রফেসর ইউনূসের অসামান্য ও বহুমূখী অঙ্গীকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলো।
৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেনশাইম, জার্মানীতে ফাউন্ডেশনটির অর্ধশত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর স্লোগান ছিল - “পরিবার গুরুত্বপূর্ণ।”
কার্ল কুবল ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পরিষদের ডেপুটি চেয়ার ড. কার্সটিন হুমবার্গ এই উপলক্ষ্যে বলেন যে, “ইউনূস তাঁর অসংখ্য নারী গ্রাহকদের সন্তান ও পরিবারের জন্য একটি অধিকতর সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করেছেন।” ড. কার্সটিন বাংলাদেশী এই অর্থনীতিবিদের প্রশংসা করে বলেন যে, কোভিড-১৯, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, নতুন নতুন যুদ্ধ - পৃথিবীর নানাবিধ সংকটের সময় ইউনূস মানুষের জন্য আশার একটি বিশাল উৎস হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রফেসর ইউনূসকে তিনি “পরিবর্তনের পথিকৃত ও আশা-স্রষ্টা” হিসেবে বর্ণনা করেন।
হুমবার্গ আরো বলেন যে, “আমরা প্রত্যেকেই অন্যদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারি। আমরা সকলেই সবসময় - এখন ও ভবিষ্যত - পরিবর্তনের স্রষ্টা।” সমাজসেবক কার্ল কুবল ও প্রফেসর ইউনূসের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে তিনি বলেন যে, “তাঁরা উভয়েই ১৯৮০-র দশকে মানুষের উদ্যোক্তা সত্ত্বা বিকশিত করার মাধ্যমে সামাজিক লক্ষ্যসমূহ নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেন এবং উভয়েই মানুষকে সহায়তা করতে এমন সুচিন্তিত পদ্ধতি প্রয়োগ করেন যাতে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে সহায়তা করতে পারে। কুবল ও ইউনূস উভয়েই ব্যবসায় উদ্যোগ-ভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগিতার পথপ্রদর্শক।”
উদ্যোক্তা কার্ল কুবল কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত “কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন এন্ড ফ্যামিলি” “মানুষকে নিজেদেরকে সহায়তা করতে সহায়তা করার” নীতিতে কাজ করে এবং জার্মানী ও বিশ্বের অন্যত্র অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও পিতা-মাতাদের জন্য গত ৫০ বছর ধরে কাজ করে আসছে। জার্মানীর দক্ষিণ হেস-এর বেনশাইমে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর অবস্থিত।