X

Type keywords like Social Business, Grameen Bank etc.

Yunus in China: Emphasizes Financial Inclusion Must Exclude All Predatory Financing like Loan Sharking

Yunus in China: Emphasizes Financial Inclusion Must Exclude All Predatory Financing like Loan Sharking

Yunus Centre Press Release (31 July, 2019)

Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus addressed the AFCA International Conference on financial inclusion. Asian Financial Cooperation Association (AFCA) is a regional non-governmental and non-profit organization registered with China’s Ministry of Civil Affairs, comprising financial and industry institutions, agencies and experts of the financial sectors from Asian countries on a voluntary basis.

 

Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus is in China from July 27 to August 1st 2019. On his second leg of the trip, the Caixin Media Group organized a breakfast meeting by where the Nobel Laureate addressed the topic of financial inclusion. Around 70 CEOs and founders of financial institutions, university professors, high officials from the Central Bank and NGO leaders attended the event.

Professor Muhammad Yunus emphasized that all financial services to the poor do not constitute financial inclusion. Some financial services are good for the poor population while others are not equipped well enough to handle their specific needs. People should be protected from such harmful financial services. Policymakers must define the maximum threshold of the rate of interest and all related costs associated with the financial product being delivered. If such measures are effectively in place, not all financial tech companies may not qualify as being part of ‘financial inclusion’.

Distinguished participants included HU Shuli, Publisher of Caixin Media, WANG Xin; Director of the Research Bureau of the People's Bank of China; XIE Ping, Professor at the People’s Bank of China School of Finance, Tsinghua University; LIU Yonghao, Member of the National Committee of the Chinese People's Political Consultative Conference (CPPCC) and Chairman of the New Hope Group; JIANG Hai, Chairman of the party committee of XW Bank; ZHANG Lihui, CEO of Caixin Media; GAO Zhan, President of Grameen China; HU Lu, Vice President, Director of Xingmin Intelligent Transportation Systems Co. Ltd; PENG Xi, Director of Tibet Sanli Investment Co.; Ltd., DING Huamei, Director and President of Tianjin Financial Assets Exchange; CHEN Lixing. Co-Founder, Executive Vice President of 9F Group; Chief Executive Officer of 9F puhui; LI Yuanfang, Ph. D. in Economics, National School of Development, Peking University; WANG Haichen, Chief Financial Officer of Youxin Financial Co.,Ltd; WEI Xinyuan, Co-Founder of Bonuo AI.

Yunus had lunch with the Chairman of China Construction Bank, Tian Guoli and other senior management. The bank wants to introduce Grameen programme in 10 branches. Currently they have 3 branches where the Grameen programme is operational that is guided by Bangladeshi experts located in each branch.

He also addressed the AFCA International Conference on financial inclusion. Asian Financial Cooperation Association (AFCA) is a regional non-governmental and non-profit organization registered with China’s Ministry of Civil Affairs, comprising financial and industry institutions,  agencies and experts of the financial sectors from Asian countries on a voluntary basis.

Prof. Muhammad Yunus is the co-chair of the Inclusion Program of AFCA. The Chinese government launched this international initiative which is headquartered in Beijing. He was invited to launch this global program in Dhaka where the entire top brass of AFCA came to Dhaka to organise the global launch. Yunus reminded the audience to decide at this early stage whether they wish to include predatory lenders into the fold of inclusive finance. He urged AFCA to make a decision at this early stage of their journey. He said the real success of inclusive finance will be demonstrated only when loan sharks and payday-lenders will not exist any more.

A meeting with the Beijing Financial Company (BFHG) was held as well. Fan Wenzhong, Chairman of the Board, Xu Hejun, General Manager of Strategic Innovation Department were present among other senior management officials. Beijing Financial Holding company is a big data company. All financial information is collected in real time. Yunus said it can act as a power house in influencing social policies. They can geographical flow of wealth concentration in real time. Financial wealth moving from rural to urban, urban to city, city to mega city.  They can show it at the speed at which it is happening and influence policy makers. Prof. Muhammad Yunus warned the company about the predatory lenders getting counted as part of financial inclusion and getting the respectability and wealth that is not deserved. Financial technology may make this matter worse and thus uses of financial technology for oppressive financing should be well measured.  They should be recognized as a counter force for financial inclusion. “They are a form of financial oppression” he said.

A separate meeting with high net worth businessmen, including entrepreneurs from Bangladeshi origin greeted the Nobel Laureate as well. Prof. Muhammad Yunus will be meeting Mr. Wu Qing, Ex-Chairman of Shanghai Stock Exchange and current Deputy Mayor of Shanghai.

Caption for Photo: Yang Liyu, Executive Deputy Secretary General of AFCA handing over a Certificate of Honour for Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus for his service towards inclusive finance.

Caption for Photo: Professor Muhammad Yunus had lunch with the Chairman of China Construction Bank, Tian Guoli and other senior management. The bank wants to introduce Grameen programme in 10 branches. Currently they have 3 branches where the Grameen programme is operational and is guided by Bangladeshi experts located in each branch.

Caption for Photo: Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus with Fan Wenzhong, Chairman of the Board of  Beijing Financial Holding company during their meeting on 30 July, 2019. BFH is a big data monitoring company, overseeing financial flows across communities in China. Monitoring financial inclusion is part of their social responsibility.


END

 

প্রেস রিলিজ

চীনে প্রফেসর ইউনূস: অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়ন থেকে অবশ্যই মহাজনী ব্যবস্থার মতো অর্থায়নগুলোকে দুর করতে হবে।

নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ২৭ জুলাই থেকে ১ আগষ্ট ২০১৯ চীন সফরে রয়েছেন। তাঁর সফরের দ্বিতীয় অংশে কেইক্সিন মিডিয়া গ্রুপ আয়োজিত একটি প্রাতরাশ সভায় অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নের উপর বক্তৃতা দিতে প্রফেসর ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানান হয়। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ৭০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রফেসর ইউনূস জোর দিয়ে বলেন যে, দরিদ্রদেরকে দেয়া সকল আর্থিক সেবা অন্তর্ভূক্তিমূলক নয়। এসব আর্থিক সেবার কোনো কোনোটি গরীব মানুষদের জন্য উপকারী হলেও অন্যগুলো তাদের প্রয়োজন ও চাহিদার বিচারে  তাদের জন্য যথোপযুক্ত নয়। এসব ক্ষতিকর আর্থিক সেবা থেকে তাদেরকে রক্ষা করা প্রয়োজন। নীতি-নির্ধারকদের উচিত দরিদ্রদের জন্য প্রণীত আর্থিক পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে সুদের হার ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যয়গুলোর একটি সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়া। এ ধরনের কার্যকর নীতিমালা থাকলে কোনো কোনো আর্থিক প্রযুক্তি কোম্পানী “অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়ন” হিসেবে বিবেচিত হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন কেইক্সিন মিডিয়ার প্রকাশক হু শুলি, পিপল্স ব্যাংক অব চায়নার গবেষণা ব্যুরোর পরিচালক ওয়ান শিন, সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পিপল্স ব্যাংক অব চায়না স্কুল অব বিজনেস এর অধ্যাপক শী পিং, চাইনিজ পিপল্’স পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্স (সিপিপিসিসি) এর ন্যাশনাল কমিটির সদস্য ও নিউ হোপ গ্রুপের  চেয়ারম্যান লিউ ইয়ংহাও, এক্সডবিøউ ব্যাংকের পার্টি কমিটির চেয়ারম্যান ঝিয়াং হাই, কেইক্সিন মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং লিহুই, গ্রামীণ চায়নার প্রেসিডেন্ট গাও শান, শিংমিন ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম কোং লিমিটেড এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিচালক হু লু, টিবেট সানলি ইনভেস্টমেন্ট কোং লিমিটেড এর পরিচালক পেং শি, তিয়ানঝিন ফাইনান্সিয়াল অ্যাসেট্স এক্সচেঞ্জ এর পরিচালক ও প্রেডিসেন্ট দিং হুয়ামেই, নাইন-এফ গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট চেন লিশিং, নাইন-এফ পুহুই এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল স্কুল অব ডেভেলপমেন্ট থেকে অর্থশাস্ত্রে পিএইচডি লি ইয়ুয়ানফাং, ইয়োক্সিন ফাইনান্সিয়াল কোং লিমিটেডের চীফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার ওয়াং হাইচেন, বোনুও এআই এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওয়েই শিনহুয়ান প্রমূখ।

প্রফেসর ইউনূস চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংকের চেয়ারম্যান তিয়ান গুয়োলি ও তাঁর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মধ্যাহ্ণভোজে অংশ নেন। ব্যাংকটি তার ১০টি শাখায় গ্রামীণ কর্মসূচি চালু করতে চায়। বর্তমানে ব্যাংকটির ৩টি শাখায় বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় গ্রামীণ মডেলে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

এছাড়াও প্রফেসর ইউনূস অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নের উপর এশিয়ান ফাইনান্সিয়াল কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশন (এএফসিএ) আয়োজিত “এএফসিএ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স”-এ ভাষণ দেন। উল্লেখ্য যে, এএফসিএ চীন সরকারের সিভিল প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনকৃত একটি আঞ্চলিক বেসরকারী ও অলাভজনক সংস্থা। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের আর্থিক খাতের বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞগণ সহ বিভিন্ন আর্থিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান স্বেচ্ছাভিত্তিতে এর অন্তর্ভূক্ত।

প্রফেসর ইউনূস এএফসিএ’র অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মসূচির সহ-সভাপতি। চীন সরকার কর্তৃক চালু এই আন্তর্জাতিক উদ্যোগটির প্রধান কার্যালয় বেইজিংয়ে অবস্থিত। ঢাকায় এই বৈশ্বিক কর্মসূচিটি চালুর সময় প্রফেসর ইউনূসকে তা উদ্বোধন করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ সময়ে কর্মসূচিটির আয়োজন উপলক্ষ্যে এএফসিএ’র সকল শীর্ষ কর্মকর্তা ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। প্রফেসর ইউনূস শ্রোতাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, কর্মসূচির শুরুতেই তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁরা অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নের ভেতরে মহাজনী ব্যবস্থাকে স্থান দেবেন কিনা। তিনি বলেন যে, অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নের প্রকৃত সাফল্য তখনই অর্জিত হবে যখন মহাজন ও “পে-ডে” ঋণদাতাদেরকে আর্থিক খাত থেকে চিরতরে দুর করা যাবে।

এছাড়াও প্রফেসর ইউনূস বেইজিং ফাইনান্সিয়াল কোম্পানীর (বিএফএইচজি) সাথে বৈঠক করেন। সংস্থাটির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ফ্যান ওয়েনশং এবং স্ট্র্যাটেজিক ইনোভেশন ডিপার্টমেন্টের জেনারেল ম্যানেজার শু হেঝুন অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা সহ এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। বেইজিং ফাইনান্সিয়াল হোল্ডিং কোম্পানী চীনের অন্যতম বৃহৎ ডাটা কোম্পানী। দেশটির সকল আর্থিক তথ্য এখানে প্রকৃত সময়ে (Real Time) সংগৃহীত হয়। প্রফেসর ইউনূস মন্তব্য করেন যে, আর্থিক নীতি প্রভাবিত করতে এটি একটি সত্যিকার পাওয়ার হাউস হতে পারে। অর্থের বিভিন্ন প্রবাহ পরীক্ষা করে এটি চলমান নাটকের মতো প্রকৃত সময়ে সম্পদের কেন্দ্রীকরণ পর্যবেক্ষণ করতে পারে এবং প্রকৃত সময়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনগুলো ও তাদের গতি-প্রকৃতি উদ্ঘাটন করতে পারে। এছাড়াও গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে নগরে  এবং নগর থেকে মেগা সিটিতে আর্থিক সম্পদের গতিপ্রবাহের উপর “বিগ ডাটা” পরীক্ষা করে এটি প্রকৃত সময়ে সম্পদের ভৌগোলিক প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করতে পারে। হোল্ডিং কোম্পানীটি নীতি-নির্ধারকদের কাছে এসব তথ্য সরবরাহ করে তাদেরকে কার্যকর নীতি প্রণয়নে সহায়তা করতে পরে। প্রফেসর ইউনূস ডাটা কোম্পানীটিকে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির নামে কোথাও কোথাও লুণ্ঠনমূলক ঋণের ব্যবসা হচ্ছে বলে সতর্ক করেন এবং বলেন যে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো যে সম্পদ ও মর্যাদা পাচ্ছে তারা তার উপযুক্ত নয়। আর্থিক প্রযুক্তি বা ফাইনান্সিয়াল টেকনোলজী পরিস্থিতিকে বরং খারাপ করতে পারে যদি এটা নিপীড়নমূলক অর্থায়নের কাজে ব্যবহৃত হয় এবং এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের ব্যবস্থাকে অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নের বিরুদ্ধ শক্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। “এগুলো এক ধরনের আর্থিক শোষণ,” তিনি বলেন।

এছাড়াও প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশী সহ চীনের বেশ কিছু বৃহৎ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার সাথে পৃথক বৈঠক করেন যাঁরা প্রফেসর ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি সাংহাইয়ের ডেপুটি মেয়র এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান উ কিন-এর সাথে বৈঠক করবেন।