Yunus Gives Public Lecture at Autonomous University of Mexico
Mexico, June 17, 2019
Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus delivered a public lecture on 17 June at the National Autonomous University of Mexico, the oldest Mexican public university. UNAM university announced that they plan to set up a Yunus Social Business Centre very soon to pursue the path of social business to create a new world based on harmony and sharing.
Yunus: Economics doesn’t deserve to be called Social Science
While visiting Mexico at the invitation of the President Andres Manuel Lopez Obrador. of Mexico during June 15 to 18, Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus delivered a public lecture on 17 June at the National Autonomous University of Mexico, the oldest Mexican public university. The University prides itself that 70% of the Presidents, including the present President, and cabinet ministers, leading business leaders came out of the alumni of this University over half a century of its history. Professor was welcomed at the event by the Academic Director and the Dean of Sciences of the university. The lecture was attended by leading citizens of the city, political and social leaders, academics and over 700 students. Professor Yunus shared his experience in creating Grameen Bank and introducing the concept of microcredit locally and globally. He described his experience of setting up microcredit programmes in Oaxaca, Chiapas, and Puebla States of Mexico during the nineties. Bangladeshi young experts of microcredit worked along with local youths to reach out to poor women in remote mountainous areas of Mexico. He also narrated his experience of setting up of Grameen America in 15 cities of US. It has now 120,000 borrowers, all women. They received over a billion dollars in loans with no collateral but maintaining over 99% repayment rate. He said 70% of Grameen America borrowers all over the US are Mexican immigrants.
He explained the current theory of economics cannot solve the economic and social problems of the world. Economics, he said, although is known as a social science, it is actually a very individual-profit centric science, devoid of any social vision.
He said his experience led him to believe that all human beings have endless creative power. But economic theory leads young people to accept that job is their only destiny. He said job kills creativity. Natural human being is an entrepreneur, not job seeker. Economics pushed the world in a disaster path by creating untamed global warming through single-minded pursuit personal profit, wealth concentration of extreme proportion. He told the students that they are the most powerful generation in human history. He urged them to use their technological power and creativity to create a new world.
He challenged the young people to take charge of their future and the future of the world. They do not have to wait for guidance and instructions from their elders. They can see the world’s problems in much clearer ways than their elders whose eyes are contaminated by the theoretical economics.
He highlighted the urgency of the drastic actions that are needed to be taken in the context of the climate crisis. He pointed out that the world is left with hardly 30 years to get the environment fixed. If we do not work to limit the global temperature within 2 degree Celsius in the next 30 years, we would reach the point of no return, and humanity would face extinction. The time to act is now, and he urged the young people with all their powers to get into action ignoring the voice of the personal profit-centric business world.
The public lecture was followed by a dialogue between Professor Yunus and four successful Mexican social entrepreneurs working in water supply, reviving indigenous arts and crafts, renewable energy and housing. They discussed what is needed to get more people involved in creating social businesses, also about challenges faced. Prof Yunus said in social business one should always start small. If at first an idea did not work he advised not to abandon it. It needed patience and creativity to find the social business solution to a social problem. One must be determined to find the solution that works. Young people are now the only hope to save the world. Older generation has failed to do it.
UNAM university announced that they plan to set up a Yunus Social Business Centre very soon to pursue the path of social business to create a new world based on harmony and sharing.
Caption for Photos : Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus delivered a public lecture on 17 June at the National Autonomous University of Mexico, the oldest Mexican public university. UNAM university announced that they plan to set up a Yunus Social Business Centre very soon to pursue the path of social business to create a new world based on harmony and sharing.
End
প্রেস রিলিজ
মেক্সিকোর অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে জন-বক্তৃতা দিলেন প্রফেসর ইউনূস
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাদরের আমন্ত্রণে ১৫-১৮ জুন ২০১৯ মেক্সিকো সফরকালে নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ১৭ জুন দেশটির প্রাচীনতম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জন-বক্তৃতা করেন। বিগত অর্ধ শতাব্দীর ইতিহাসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট সহ মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট, ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী নেতাদের ৭০ শতাংশই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বলে বিশ্ববিদ্যালয়টি গর্ব করে থাকে। প্রফেসর ইউনূস অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালে সেখানকার একাডেমিক ডিরেক্টর এবং ডিন অব সায়েন্সেস তাঁকে স্বাগত জানান। প্রফেসর ইউনূসের বক্তৃতা শুনতে অনুষ্ঠানে যোগ দেন নগরীর বিশিষ্ট ও নেতৃস্থানীয় নাগরিকবৃন্দ, শিক্ষকগণ ও সাত শতাধিক ছাত্র। প্রফেসর ইউনূস শ্রোতাদের কাছে গ্রামীণ ব্যাংক সৃষ্টির ইতিহাস বর্ণনা করেন করেন এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্ষুদ্রঋণের ধারণা তাদের নিকট তুলে ধরেন। তিনি ১৯৯০ এর দশকে মেক্সিকোর ওকসাকা, চিয়াপাস ও পুয়েবলা রাজ্যে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি স্থাপনের অভিজ্ঞতারও বিবরণ দেন। সে সময়ে বাংলাদেশ থেকে আসা ক্ষুদ্রঋণের তরুণ বিশেষজ্ঞরা মেক্সিকোর দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় দরিদ্র নারীদের নিকট ঋণ সুবিধা পৌঁছে দিতে স্থানীয় তরুণদের সাথে একযোগে কাজ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি নগরীতে গ্রামীণ আমেরিকার শাখা স্থাপনের অভিজ্ঞতাও বর্ণনা করেন। বর্তমানে গ্রামীণ আমেরিকার ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ১২০,০০০ যাঁদের সকলেই মহিলা। এঁরা প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশী ঋণ নিয়েছেন যার পরিশোধের হার ৯৯ শতাংশেরও বেশী। গ্রামীণ আমেরিকার ঋণ গ্রহীতাদের ৭০ শতাংশই হচ্ছেন মেক্সিকো থেকে যাওয়া অভিবাসী।
প্রফেসর ইউনূস বলেন যে, বর্তমান অর্থনৈতিক তত্ত¡ পৃথিবীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে না। অর্থশাস্ত্রকে একটি সামাজিক বিজ্ঞান বলা হলেও এটা আসলে নিছকই ব্যক্তিগত-মুনাফা কেন্দ্রিক একটি বিজ্ঞান যার কোনো সামাজিক দিক-নির্দেশনা বা দর্শন নেই।
তিনি বলেন, তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, প্রতিটি মানুষের মধ্যে রয়েছে সীমাহীন সৃষ্টিশীল শক্তি। কিন্তু প্রচলিত অর্থনীতির তত্ত¡ তরুণদেরকে এটা মেনে নিতে শেখায় যে, চাকরিই তাদের সামনে একমাত্র পথ। তিনি বলেন, চাকরি একজন মানুষের সৃষ্টিশীলতাকে ধ্বংস করে দেয়, কেননা মানুষ জন্মগতভাবেই একজন উদ্যোক্তা, চাকরিজীবি নয়। প্রচলিত অর্থশাস্ত্র মানুষকে শুধু ব্যক্তিগত মুনাফার অন্বেষণ ও সমাজকে সম্পদ কেন্দ্রীকরণের একটি হাস্যকর রাস্তায় চালিত করে। এর একটি অনিবার্য পরিণতি বল্গাহীন বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যা আজ পৃৃথিবীকে চরম সংকটে নিপতিত করেছে। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, মানব ইতিহাসে তাদের প্রজন্মই সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তিনি ছাত্রদেরকে তাদের প্রযুক্তিগত শক্তি ও সৃষ্টিশীলতা ব্যবহার করে একটি নতুন পৃথিবী গড়ে তোলার আহŸান জানান।
প্রফেসর ইউনূস তরুণদেরকে তাদের নিজেদের ও পৃথিবীর ভবিষ্যত তাদের নিজেদের হাতে তুলে নিতে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেন, এজন্য তাদেরকে তাদের বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে দিক-নির্দেশনা নেবার প্রয়োজন নেই। তরুণরা পৃথিবীর সমস্যাগুলো নিজেরাই পরিস্কারভাবে দেখতে পায় কেননা তাদের চোখ তাদের বয়োজ্যেষ্ঠদের চোখের মতো অর্থশাস্ত্রের প্রচলিত তত্তে¡ দূষিত হয়ে যায়নি।
তিনি জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় ত্বরিত ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে সকলকে আহŸান জানান। তিনি বলেন যে, পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে মানুষের হাতে বড় জোর আর ৩০ বছর সময় আছে। আমরা যদি আগামী ৩০ বছরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে না পারি তাহলে পরিবেশগত সংকট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এবং মানব জাতি বিলুপ্তির সম্মুখীন হবে। তিনি এজন্য তরুণদেরকে ব্যক্তিগত-মুনাফা কেন্দ্রিক ব্যবসায়িক দুনিয়াকে অগ্রাহ্য করে এখনই তাদের সর্বশক্তি নিয়ে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে আহŸান জানান।
তাঁর জন-বক্তৃতার পর প্রফেসর ইউনূস চারজন সফল মেক্সিকান সামাজিক উদ্যোক্তার সাথে একটি সংলাপে অংশ নেন। এই সামাজিক উদ্যোক্তারা পানি সরবরাহ, দেশীয় কারুশিল্পের ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নবায়নযোগ্য শক্তি ও আবাসন খাতে কাজ করছেন। কীভাবে আরো বেশী মানুষকে সামাজিক ব্যবসার সাথে যুক্ত করা যায় এবং এক্ষেত্রে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা নিয়ে সংলাপে আলোচনা হয়। প্রফেসর ইউনূস বলেন যে, কোনো সামাজিক ব্যবসা ছোট আকারে শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। কোনো আইডিয়া শুরুতে কাজ করছে না মনে হলেও তিনি তা পরিত্যাগ করার পক্ষপাতী নন। সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে কোনো সামাজিক সমস্যার সমাধান করতে দরকার ধৈর্য্য ও সৃষ্টিশীলতা। একটি কার্যকর সমাধান খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীকে রক্ষা করতে এখন তরুণরাই একমাত্র ভরসা। বয়োজ্যেষ্ঠরা একাজে ব্যর্থ হয়েছে।
অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে যে, তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শীঘ্রই একটি “ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার” প্রতিষ্ঠা করবে যার লক্ষ্য হবে সামাজিক ব্যবসার মূলনীতির অনুসরণে পারস্পরিক সংগতি ও আদান-প্রদানের ভিত্তিতে একটি নতুন পৃথিবীর পথ অন্বেষণ করা।