Yunus Addresses German Unification Day 2018 Celebration at Brandenburg Gate
Yunus Centre Press Release (October 08, 2018)
Photo installation made by the international acknowledged artist JR at the Brandenburg Gate
Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus standing in front of a crowd of 600,000 to deliver his speech
On October 3rd the Germans celebrate a very important event in the history of Germany and a very significant event in the history of the world. On this day German people have shown that a revolution doesn't always need to be a stage for violence. It can be achieved through peace as well. Honoring this memorable day Professor Yunus was invited to speak at the Brandenburg Gate in Berlin which was covered by a photo installation made by the international acknowledged artist JR. He was the only keynote speaker at this musical celebration.
The ceremony was made up of cultural performances by popular German artists and was concluded by Nobel Laureate Professor Yunus delivering the keynote speech at the event, in front of a huge crowd of 600,000 people at the Brandenburg Gate, and another half a million people gathered at various focal points in various cities of Germany . His speech rounded off the event and was followed up by grand display of fireworks that lit up the sky to celebrate this historical day.
In his moving speech Professor Yunus said,
“Today we are celebrating a very important event in the history of Germany and also in the history of the world. On this day German people have shown that a peaceful revolution is possible.
We agree:
That peace is threatened by unjust economic, social and political order, absence of democracy, environmental degradation and absence of human rights;
We agree:
That social justice is a must to prevent the society from radicalism;
We agree:
That poverty is caused by the absence of social justice.
Since we agree, we must act together.
Extreme concentration of wealth in fewer and fewer hands caused by existing economic system violates the fundamentals of social justice. Unless this inbuilt systemic flaw is corrected it will generate social upheaval.
As an attempt to address this flaw I created the concept of social business, a business concept which is based not on profit motive, but on empathy and global citizenship. It creates non-dividend companies dedicated to solving human problems.
It will reduce the social and environmental injustices including the injustice of wealth concentration.
Good economic theory must give the people the environment to live in peace. The present economic system does not provide that.
We need new concepts and new practices. We need to build a new economic framework to build a new civilization based social justice and human values. On this important day of celebration let us make up our minds to focus on creating the new civilization with social justice and peace, and promise to achieve it whatever it takes.
Only with you, we can make it.
Let us make it together.
Thank you.”
Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus delivering his speech in honor of the German Unification Day.
End
প্রেস রিলিজ
জার্মান একত্রীকরণ দিবস ২০১৮ উপলক্ষ্যে ব্রান্ডেনবুর্গ গেইটে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিলেন প্রফেসর ইউনূস
৩ অক্টোবর জার্মানীর ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোর একটি পালন করে থাকে জার্মানরা যা পৃথিবীর ইতিহাসেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি। এই দিন জার্মানরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছিল যে, বিপ্লবের জন্য সহিংসতা অপরিহার্য নয়; বিপ্লব শান্তির মধ্য দিয়েও অর্জিত হতে পারে। এই স্মরণীয় দিনটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বার্লিনে ব্রান্ডেনবুর্গ গেইটে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয় নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে।
পুরো অনুষ্ঠানটি জুড়ে ছিল জনপ্রিয় জার্মান শিল্পীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপস্থাপনা এবং অনুষ্ঠানটি শেষ হয় ব্রান্ডেনবুর্গ গেইটে সমবেত ৬০ হাজার মানুষের একটি বিশাল সমাবেশ ও জার্মানীর আরো বিভিন্ন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জমায়েত আরো ৫ লক্ষ মানুষের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ইউনূসের একক ভাষণের মধ্য দিয়ে। তাঁর ভাষণ শেষ হবার পর পরই দিনটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য আতশবাজির আলোয় পুরো আকাশ আলোকিত হয়ে উঠে।
সমবেত বিশাল জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর হৃদয়গ্রাহী ভাষণে প্রফেসর ইউনূস বলেন,
“আজ আমরা শুধু জার্মানীর ইতিহাসে নয় বরং সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন উদ্যাপন করতে জড়ো হয়েছি। এই দিন জার্মান জনগণ বিশ্বকে দেখিয়ে দেয় যে, বিপ্লব শান্তিপূর্ণভাবে সংঘটিত হতে পারে।
আমরা একমত যে:
শান্তি বিঘিœত হয় অন্যায্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো, গণতন্ত্রহীনতা, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং মানবাধিকারের অনুপস্থিতির কারণে;
আমরা একমত যে:
সমাজকে চরমপন্থা মতবাদ থেকে রক্ষা করতে হলে সামাজিক ন্যয়বিচার অপরিহার্য;
আমরা একমত যে:
দারিদ্রের কারণ সুবিচারের অভাব।
যেহেতু আমরা এই বিষয়গুলোতে একমত, তাই আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অল্প থেকে অল্পতর মানুষের হাতে সম্পদের চরম কেন্দ্রীকরণ, যা-কিনা প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থারই ফল, সামাজিক সুবিচারের মূলনীতিগুলোকে লংঘন করে। অর্থনৈতিক কাঠামোর মূলে প্রোথিত এই ত্রুটিকে সংশোধন করা না গেলে তা সামাজিক অভ্যুথানের জন্ম দেবে।
এই ক্রুটিকে দুর করার জন্য আমি সামাজিক ব্যবসার ধারণা সৃষ্টি করেছি যার মূল ভিত্তি সহমর্মিতা ও বৈশ্বিক নাগরিকত্ব Ñ মুনাফার অনুসন্ধান নয়। এই ব্যবসা মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানকল্পে লভ্যাংশবিহীন কোম্পানী তৈরী করে।
সম্পদের কেন্দ্রীকরণের মতো অবিচার ছাড়াও এই ব্যবসা সামাজিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন অন্যায় দুর করতে সাহায্য করে।
একটি ভাল অর্থনৈতিক তত্ত্বকে মানুষকে শান্তিতে বাস করার মতো পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামো এই পরিবেশ দেয় না।
আমাদের দরকার নতুন নতুন তত্ত্ব ও নতুন নতুন কর্মপন্থা। আমাদের দরকার একটি নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো যা সামাজিক সুবিচার ও মানবীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে আসুন আমরা সামাজিক সুবিচার ও শান্তির ভিত্তিতে একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে এবং এজন্য যা-কিছু প্রয়োজন তা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।
আপনি সঙ্গে থাকলেই আমরা তা করতে পারবো।
আসুন আমরা সবাই মিলে এটা করি।
সবাইকে ধন্যবাদ।
ছবির ক্যাপশন-১: ব্রান্ডেনবুর্গ গেইটে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী জে.আর এর ফটো ইনস্টলেশন।
ছবির ক্যাপশন-২: ৬০,০০০ দর্শক-শ্রোতার সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতারত নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
ছবির ক্যাপশন-৩: জার্মান একত্রীকরণ দিবস উপলক্ষ্যে ভাষণরত নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।