Yunus addresses Tata Group CEOs and Top Executives in Bhubaneshwar : What Kind of Future We Want --Yunus
Press Release (10 January, 2017)
Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus addressing the CEOs and top executives of some 240 Tata companies who had assembled in Bhubaneshwar, Orissa, India at the Tata Sustainability Conclave Conference on Future- Proof Business on January 9, 2017.
Nobel Laureate Professor Muhammad Yunus on January 9, 2017 addressed the CEOs and top executives of some 240 Tata companies who had assembled in Bhubaneshwar, Orissa, India at the Tata Sustainability Conclave Conference on Future- Proof Business.
During the speech Professor Yunus raised the question which future are we talking about? Should we prepare ourselves to fit ourselves into a future which was created by forces beyond our control, or we purposefully create a future to fit us. The real question is what kind of future we want and how do we create it?
He narrated the story of how he wanted to create a future for poor people by creating a new a financial institution, called Grameen Bank. He mentioned how as a university teacher in Chittagong University he faced the reality that made the poor helpless confronting a famine, age-old curse of loan sharking, poor health, illiteracy, lack of work etc.
When he found out the academic economics which he taught and the institution of banking were of no help, he took the unconventional steps of lending to the poor with his own personal fund. This led to the creation of a bank, known as Grameen Bank.
It led to other things, to solve the problems of sanitation, health care, nutrition and many more. For each of the problem he created a new kind of business -- social business. This concept of social business was born out of long experience -- business to solve problems, not to make personal profit.
The concept has spread over the world. Instead of accumulating profits and then giving in charity, social business gives a new sustainable option. He said making money is happiness but making other people happy is super happiness.
He said human beings are not born for working for other people. Human beings are born entrepreneurs. They are not job-seekers, they are job-creators, he said.
Young people should be encouraged to be entrepreneurs. Appropriate eco-system should be developed to make it possible for every young person to start business. An appropriate financial system must be an essential part of that ecosystem.
This will also reverse the dangerous trend of extreme concentration of wealth in the hands of fewer and fewer people. This trend is bound to bring social disaster soon. The businesses of millions of entrepreneurs will prevent the sucking up of all the wealth to the top.
Individuals, companies, and others are now showing interest in social business more and more, creating social business funds, and actually helping start social businesses to solve various problems. Professor Yunus gave several examples of these from all over the world. Many reputed business schools are now teaching social business and young people are showing tremendous enthusiasm.
It is through such actions and enthusiasm that Prof. Yunus believes that his goals of three zeroes will soon be achieved --zero poverty, zero unemployment and zero carbon emission.
The speech was followed by question and answer session. Professor Yunus thanked Tata Group of companies for getting involved in social business.
----- END ----
In Bangla
প্রেস রিলিজ
ভুবনেশ্বরে টাটা গ্রুপের প্রধান নির্বাহীগণ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রফেসর ইউনূসের ভাষণ: কী ধরনের ভবিষ্যত আমরা চাই – ইউনূস
নোবেল লরিয়েট প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৯ জানুয়ারী ২০১৭ প্রায় ২৪০টি টাটা কোম্পানীর প্রধান নির্বাহীগণ ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত “টাটা সাসটেইন্যাবিলিটি কনক্লাভ অন ফিউচার-প্রুফ বিজনেস” শীর্ষক টাটার এই সম্মেলন উপলক্ষে সমবেত টাটার শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তাঁর এই ভাষণে তিনি প্রশ্ন তোলেন – কোন ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা কথা বলছি? আমরা কি সেই ভবিষ্যতের সাথে খাপ খাওয়াতে নিজেদেরকে প্রস্তুত করবো যা এমন সব শক্তি দিয়ে তৈরী যার উপর আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, নাকি আমাদের প্রয়োজন মাফিক একটি ভবিষ্যৎ আমরা নিজেরাই তৈরী করে নেবো? আসল প্রশ্নটি হলো – কী ধরনের ভবিষ্যৎ আমরা চাই এবং সেটা আমরা কীভাবে তৈরী করবো?
দরিদ্র মানুষের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কীভাবে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক নামের আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন সে কাহিনী তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের কাছে বর্ণনা করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময়ে তিনি কীভাবে দুর্ভিক্ষ, যুগ যুগ ধরে চলে আসা মহাজনী প্রথা, দুর্বল স্বাস্থ্য, নিরক্ষরতা, বেকারত্ব ইত্যাদি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি সেসব বিষয়ে বলেন
যখন তিনি দেখতে পেলেন যে, প্রথাগত অর্থনৈতিক তত্ত্ব যা তিনি ক্লাশরুমে পড়াচ্ছিলেন এবং প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা কোনটিই কোন কাজে আসছিল না, তিনি তখন দরিদ্র মানুষদেরকে তাঁর নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ঋণ দেবার অপ্রচলিত পথে পা বাড়ালেন। এ থেকেই সৃষ্টি হলো একটি নতুন ব্যাংকের যা এখন গ্রামীণ ব্যাংক নামে সুপরিচিত।
এ থেকে সৃষ্টি হলো আরো কিছুর – স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য সেবা, পুষ্টি এবং আরো অনেক সমস্যার সমাধান। প্রতিটি সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি সৃষ্টি করলেন একটি নতুন ধরনের ব্যবসা – সামাজিক ব্যবসা। সামাজিক ব্যবসার এই তত্ত্ব সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে – সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবসা, ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য নয়।
এই তত্ত্ব এখন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। মুনাফা জমিয়ে তা পরহিতকর কাজে ব্যবহার করার পরিবর্তে সামাজিক ব্যবসা এখন একটি নতুন, টেকসই পথ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, টাকা কামানোয় সুখ আছে, কিন্তু অন্য মানুষকে সুখী করা পরম সুখের।
প্রফেসর ইউনূস বলেন, অন্যের জন্য কাজ করতে মানুষ জন্ম নেয় না। প্রতিটি মানুষই জন্মগতভাবে একজন উদ্যোক্তা। চাকরি খোঁজার জন্য নয় বরং কাজ সৃষ্টি করতেই মানুষের জন্ম।
তিনি বলেন, আমাদের উচিত তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করা। প্রতিটি মানুষই যাতে তার নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারে সেজন্য উপযুক্ত ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলা প্রয়োজন। একটি যথাযথ আর্থিক কাঠামো এই ইকো-সিস্টেমের একটি অপরিহার্য অংশ হতে হবে।
এর ফলে স্বল্প থেকে স্বল্পতর কিছু মানুষের হাতে পৃথিবীর সম্পদ কেন্দ্রীভূত হবার ভয়ংকর প্রবণতাটিও উল্টে যাবে। বর্তমান ব্যবস্থাটি সামাজিক বিপর্যয় ডেকে আনতে বাধ্য। পৃথিবীর সব সম্পদ শুষে সম্পদ পিরামিডের শীর্ষে থাকা গুটিকয়েক ব্যক্তির কাছে কেন্দ্রীভূত হবার বর্তমান প্রবণতাটি লক্ষ লক্ষ উদ্যোক্তার ব্যবসাগুলো রুখে দেবে।
সামাজিক ব্যবসা তহবিল সৃষ্টি ও সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সামাজিক ব্যবসা চালুতে সহায়তা করে বিভিন্ন ব্যক্তি, কোম্পানী ও অন্যরা এখন সামাজিক ব্যবসায়ে আরো বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রফেসর ইউনূস পৃথিবী জুড়ে এর বেশ কয়েকটি উদাহরণ দেন। বহু খ্যাতনামা বিজনেস স্কুল এখন সামাজিক ব্যবসা পড়াচ্ছে এবং তরুণদের মধ্যে এ বিষয়ে প্রবল আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
প্রফেসর ইউনূস মনে করেন যে, এই ধরনের কর্ম ও আগ্রহ থেকেই তাঁর তিনটি বৈশ্বিক লক্ষ্য – অর্থাৎ শূন্য দারিদ্র, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নীট কার্বন নিঃস্বরণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
তাঁর বক্তৃতার পর ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সামাজিক ব্যবসায়ে জড়িত হবার জন্য প্রফেসর ইউনূস টাটা গ্রুপের কোম্পানীদের ধন্যবাদ জানান।